বাংলাদেশ এত লোডশেডিং কেন হয়?Why So Much Load-shedding in Bangladesh?
লোডশেডিং আমাদের কাছে অতি পরিচিত একটি বিষয়।
বাংলাদেশে প্রথম দিকে শহর অঞ্চলে বিদ্যুৎ সুবিধা পাওয়া গেলেও বর্তমানে পুরো বাংলাদেশকে বিদ্যুৎতের আওতায় আনা হয়েছে। তবে শুধু বিদ্যুৎতের আওতায় আনার কোনো মানে হয় না যদি না বিদ্যুৎ সংযোগ সঠিকভাবে দেওয়া যায়। বাংলাদেশের অধিকাংশ অঞ্চল বিদ্যুৎতের আওতায় থাকলেও সঠিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়না অনেক অঞ্চলে।এই লোডশেডিং বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি হচ্ছে গ্রামীন অঞ্চলে । গ্রামীন এলাকায় লোকজনের কাছে বিদ্যুৎ পাওয়াটা এখন যেন স্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বারবার চলে যাচ্ছে বিদ্যুৎ। অনেক সময় দেখা দিচ্ছে গ্রাম এর লোকেরা রাতের বেলায় ঘর থেকে বেরিয়ে বাহিরে এবং রাস্তার পাশে শুয়ে আছে ।
বর্তমান বিদ্যুৎ সকল জায়গায় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যুৎ এর উপর সরাসরি নির্ভরশীল অনেক ছোটখাটো এরং বড় ব্যবসা। বিদ্যুৎ এর এই ঘাটতি বাংলাদেশ নতুন নয় । অনেক বছর আগে থেকেই এই ধরনের বিষয় দেখা দিচ্ছে।
বিদ্যুৎ ঘাটতির এই সমস্যা থেকে নিস্তার চায় সকলে।
বাংলাদেশর বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২৫০০০ মেগাওয়াট এর কাছাকাছি কিন্তু বিদ্যুৎ চাহিদা তার থেকে অনেক বেশি। বিদ্যুৎ চাহিদা হঠাৎ এত বেশি হওয়ার পিছনে একটা কে কারণ হিসেবে ধরা যেতে পারে সেটা হলো অতিরিক্ত অটোরিকশা। সরকার এতো এতো বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি করছে কিন্তু তার কোনো ব্যবহার হচ্ছে না বর্তমানে দেশের যুবকরা কোন কাজ না পেয়ে শেষে এই রিকশা চালানোর পেশাই বেছে নিচ্ছে।
বাংলাদেশে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয় তা পুরো দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশের মধ্যে দেখা দেয় না। দেশের রাস্তাঘাট এবং অন্যান্য বিষয় উন্নতির দিকে গেলেও বিদ্যুৎ এর এই ঘাটতি আগের মতোই রয়ে গেছে বাংলাদেশে। নিজেদের বিদ্যুৎকেন্দ্র থাকা সত্ত্বেও তা চালানো যাচ্ছে না পর্যাপ্ত জ্বালানির অভাবে। যার কারণে এই বিদ্যুৎ ঘাটতির অধিকাংশ পূরণ করা হয় বিদ্যুৎ আমদানির মাধ্যমে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বাজেটে বেশ কিছু বিপত্তি দেখা দিয়েছে এবং বাজেটের অধিকাংশই করা হয়েছে ঋণে নির্ভর। এই অবস্থায় সরকার চলমান এই সমস্যাগুলো কিভাবে সমাধান করবে তা বোঝা যাচ্ছে না।